ম্যাথম্যাটিক্যাল এ্যাবসার্ডিটি

ম্যাথম্যাটিক্যাল এ্যাবসার্ডিটি


ন্যাচারাল ফিলসফি(তথা সাইন্সের) অনুসারী কিছু লোকেরা গর্বের সাথে বলে থাকে গ্লোব আর্থ ম্যাথম্যাটিক্যালি প্রভেন। সমতল জমিনের কথা শুনার সময়, প্রথমেই গাণিতিক লজিক তালাশ করে। এরা তারাই যারা গনিত প্র‍য়োগ করে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় - Creation came out of nothing! এদের গুরুজনরা গনিত ব্যবহার করে সিদ্ধান্তে আসে যে, সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নেই। 😆

মূলত রিয়েলিটি মানুষের চিন্তার দ্বারা সৃষ্ট গাণিতিক লজিক গুলোর ধার ধারে না। প্রকৃতির ডিজাইনার মানুষের সীমাবদ্ধ চিন্তার লজিক্যাল ফসল- গনিতের যুক্তিগুলোকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি করেননি। সৃষ্টি কখনোই স্রষ্টার তৈরিকৃত গানিতিক প্যাটার্ন তৈরি করে তা দ্বারা সব কিছু পরিমাপ করতে পারে না,সে যতই বুদ্ধিমান হোক।

আর দূরবর্তী অপর্যনেক্ষনযোগ্য (unobservable) সৃষ্টিগুলোকে তো গনিতের লজিকের সীমাবদ্ধতার আওতায় ফেলে ফলাফল বের করা আরো বড় বোকামি। যেমন সূর্যের ও অন্যান্য তারকার দূরত্ব ব্যাসার্ধ, পরিধি,গতি প্রভৃতি। এই ইডিয়টিক কাজটাই সায়েক্টিফিক কমিউনিটি বেশ গর্বের সাথে করে।

এই কারনে ছবিতে দেখুন, এক একজন জ্যোতিষীর(কথিত মহাকাশবিদ) সূর্যের দূরত্ব সংক্রান্ত এক একরকম ট্রোল। 😆😆 খোজ নিয়ে দেখুন, ওই প্রত্যেক বিজ্ঞ্যানীই ম্যাথ ব্যবহার করেছিলেন। এই সুডোসাইন্টিফিক ট্রোল বর্তমান মাথামোটা পোলাপানের বিশ্বাসের দলিল। 😃। এই বিশ্বাসের ভিত্তি নিয়ে তর্ক বিতর্ক করতে চলে আসে। 😆

ম্যাথম্যাটিকস মানুষের চিন্তার সীমাবদ্ধতার দ্বারা সৃষ্টি।

আর এতে যেরকম ইনপুট করবেন সেভাবে আউটপুট পাবেন। যে ডেটা বৈজ্ঞানিক দার্শনিকদের হাতে নেই, সেটাকে অনুমান করে ইনপুট হিসেবে নিয়ে গনিত থেকে পাওয়া ফ্রডুলেন্ট আউটপুটকে দলিল-প্রমান হিসেবে দ্বার করায়। আরেকটি ব্যপার হলো, মানুষের বানানো পরিমাপক বিদ্যাকেই সৃষ্টিকর্তা ব্যবহার করে সব কিছু বানান নি। জ্যামিতিক আর্ট, যেকোন মেজারিং ইউনিট সব কিছুই মানুষের ইচ্ছানুযায়ী সীমানা মেপে তৈরি। ধরুন, কোন বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলো, ৯৯% মানুষ

মারা গেল। জ্ঞান-বিজ্ঞান গনিত সব ধ্বংস হলো। তখন বেচে থাকা মানুষের বংশধররা আবারো ক্রমান্বয়ে সব কিছু ডেভেলপ করবে, আগের গানিতিক লজিক, পরিমাপক ইউনিট গুলোর সাথে তখনকার নবউদ্ভাবিট ইউনিট গুলোর সম্পর্ক নাও থাকতে পারে। সবকিছুর প্যাটার্ন একদম ভিন্ন হতে পারে। তখন যে এস্ট্রনমকাল আইডিয়া তৈরি হবে তার সাথে আগের সভ্যতার কোন সম্পর্ক নাও থাকতে পারে। এজন্যই বলি, রিয়েলিটি কখনো অনুমাননির্ভর মানব জ্ঞান-তত্ত্বের ধার ধারে না। রিয়েলিটির সবকিছুই আল্লাহ ইচ্ছানুযায়ী সৃষ্ট। মানুষ এক্স্যাক্ট অবজারভেশন ও হাতেকলমে পরীক্ষন ছাড়া যা বলে, তা ভিত্তিহীন অনুমান। এজন্য mathematics কে infallible ভাবা বড় ধরনের মূর্খতা। এটা টেস্লা,আইনস্টাইনরাও ভাল করে বুঝতে পেরেছিল।

এসব বিষয় বুঝবার পরেও ফ্রিম্যাসনিক পিথাগোরিয়ান ট্রোলকে সত্য হিসেবে মেনে একদল লোক ম্যাথ ম্যাথ করতে থাকবে। 'ব্রেইনওয়াশড' হলে যাহা হয়। 😆
Source : amsbd

Arjun Deba Nath

FacebookArjun Deba Nath

Pages